হিন্দুদের ওপরে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ইতিহাস ও ভূমিকা | History and role of riots against Hindus

 

হিন্দুদের ওপরে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ইতিহাস ও ভূমিকা | History and role of riots against Hindus

মনে হয় একটা দুঃস্বপ্নই ছিল; দলে-দলে মানুষ ছুটছে, প্রান ভয়ে ছুটছে, ছুটে চলেছে আজানার উদ্দেশ্যে, এক নিরাপদ আশ্রয়ে। দুপাশ দিয়ে রক্ত গঙ্গা বয়ে চলেছে, শিশুদের আর্তচীৎকার, নারীদের গগন বিদারী হাহাকার, আগুনে লেলিহান শিখায় পুড়ছে ঘর, পুরছে বসতবাড়ী, জীবিকার শেষ সম্বলটুকুও।

“নারায়ে তাকবীর” আর “আল্লাহু আকবর” মুর্হুমুর্হু ধ্বনিতে প্রকম্পিত আকাশ-বাতাস। ওইতো ওরা ছুটে আসছে পেছনে, হাতে জ্বলন্ত মশাল, তরবারি। শোণিতধারায় ভেজা পাঞ্জাবি, চোখ গুলো জ্বলছে, অন্ধকার রাতে বুভুক্ষ শ্বাপদ শিকারের রক্তের দিকে যেভাবে লুলুপো দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
মানুষ ছুটছে, যে যেদিকে পারে ছুটছে। একপাল হরিণকে যেন চারদিক থেকে হায়নারা ঘিরে ধরেছে। বৃদ্ধরা আসহায় চোখে তাকিয়ে রয়েছে সেই হায়নাদের দিকে। বয়সের ভারে যদিও তাদের মনে একটু দয়া হয়। জোড় হাতে নীরবে অশ্রুবিসর্জন। চলার শেষ শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছে তারা। চারদিকে তার শুধুই বীভৎস মৃত্যুও কষ্টে ছটফট করছে। ঘরের সবথেকে ফুটফুটে নাতনীটাকে একটু আগেই যে যেভাবে ধর্ষণ করে ফেলে গেছে, জঠরে ইসলামের বীজ তো দিতে হবে, ইমানী দায়িত্ব। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত মেয়েটা ছটফট করেছে প্রচণ্ড যন্ত্রণায়, বৃদ্ধা দিতে পারে নি তার মুখে এক ফোঁটা জলও। ঘরের বিছানায় পুত্রবধূ, উঠোনে পুট্রের-পৌত্রের টাটকা লাশ, এখনও মাছিরা তার গন্ধ পায় নাই।
হয়তো ইহা দুঃস্বপ্ন ছিল, এক বীভৎস দুঃস্বপ্ন। একদিন এমনই দুঃস্বপনের ঘোরে নিজ জন্মভূমি, নিজের ভিটে-মাটি, সহায় সম্বল, আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল যারা, ঠাই হয়েছিল কোন রেলওয়ে বস্তিতে, চার পুরুষ ধরে কঠোর পরিশ্রম, রক্তে-ঘামে ভাগ্য ফিরিয়ে আনার জন্য যারা উদয়াস্ত খাটছিল, তারাই আজ আবার পালিয়ে যাচ্ছে, পালিয়ে যাচ্ছে অন্য কোন এক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। সাজানো ফুলবাগান আজ আগাছারই দখলে।

পালিয়ে যাও, তোমরা পালিয়ে যাও। কতদূর পালাবে। আর কত হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে, নিজ মাটিতে, নিজ মাতৃভূমির স্বপ্নে, নিজেকেই হারানোর বেদনা নিয়ে তুমি কোন তেপান্তরে পালিয়ে যাবে? হায়নারা কালকে সেখানেও হানা দেবে।
শতশত হারানোর সাক্ষী বাংলাদেশের হিন্দুরা, পাঞ্জাবের শিখ-হিন্দুরা, পাকিস্তানের বালুচরা, সিন্ধরা, কাশ্মীরের পণ্ডিতরা, খাইবার পাশতুনের হিন্দুরা, আফগানের হিন্দু-শিখরা। অনেকে সেই হারানোর বেদনাকে মনের গহীনে লুকিয়ে রেখেই হারিয়ে গেছেন সময়ের করালগ্রাসে। কেউ আবার আজও সেই বীভৎস ঘটনা গুলোকে জীবনের দুঃস্বপ্ন ভেবে মাঝ রাতে ডুকরে কেঁদে ওঠেন।
বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি শহরে ঘটেছে এই রকমের আজস্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাঃ নোয়াখালী, বরিশাল, সৈয়দপুর, খুলনা, রাজশাহী আরও কত নাম। এমন কোন জেলা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ধর্মের নামে মানুষের বলিদান হয় নাই। যার হারিয়ে যায়, শুধু সেই এর মর্মব্যাথা বুঝতে পারে।
চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে ”
(কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার)
উৎবাস্তু এখন হিন্দুজাতির এক অভিন্ন সত্ত্বায় পরিনত হয়েছে। যদি আজও ভারত এই সহায় সম্বলহীন মানুষগুলোকে স্থান না দিত, পুরো পৃথিবী দেখতো পৃথিবীর উৎবাস্তুদের তালিকায় আরও একটি নাম, হিন্দু জাতি। পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে, দিল্লীর অলিতেগলিতে, কাশ্মীরী শিবির- ভারত নীরবে তাদের ক্ষত প্রশমনের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। পৃথিবীকে জানতে দেয় নাই। অথচ নিজের পায়ে কুড়ল মেরে দেশ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের কত ফান্ডিং, মধ্যপাচ্যগুলোর ইসলামিক এনজিওদের সাহায্য। ইউরোপে বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশী শরণার্থীর তালিকায় আছেঃ ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, পাকিস্থান, বাংলাদেশ।
বাংলার হিন্দুরা উৎবাস্তুতে পরিনত হতে শুরু করেছে মূলত বাংলারশেষ রাজা বল্লাল সেনের সময় থেকে, যেদিন বল্লাল সেন মাত্র বারজন জিহাদি আর মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির ভয়ে মধ্যাহ্নভোজন ছেড়েই পালিয়েছিলেন। তার পর থেকে মোঘল, সুলতান, উজির-নাজির, কাজী যে যেভাবে পেরেছে হিন্দুদের উচ্ছেদ করেছে, জাযিরা কর বসিয়েছে। লোভ দেখিয়ে, জোর করে ধন্মান্তর করেছে। মুসলিম শাসনের পতন হল ব্রিটিশদের হাত ধরে। বাংলার হিন্দুরা কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বাঁচল ৬০০ বছরের অত্যাচারের হাত থেকে। কিন্তু শুরু হল আরেক উৎপাত, লোভের টোপ ফেলে, ভাল মানুষীর মুখস পরে মিশনারিদের যিশুপ্রেম প্রচার।
হিন্দুদের ওপরে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ইতিহাস ও ভূমিকা Article, History and role of riots against Hindus Story, Sojasapta2, Sojasapta Talk
সাল ১৯৪১, শুরু হল বাংলার হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরণের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, এর পরপর বাংলার ধনী আর উচ্চশিক্ষিত অধিকাংশ হিন্দুরা ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে অনুমান করে পারি জমায় কলকাতা সহ এর আশেপাশে। এই দাঙ্গা ব্রিটিশ সরকার অনেকটাই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় সেই সময়ের বাংলার কিছু শুরবীরেরা, আমরা হিন্দুরা আজ তাদের নাম ভুলে গেছি, ইতিহাসের পাতায় তাদের কোন নাম নেই, এর আমাদের হিন্দু ইতিহাসতো কখনই কেউ লিখে রাখে নাই। আর সেই পাতা খুঁজতে গেলেই নাম হবে সাম্প্রদায়িক।
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ আমি আজ চোর বটে
সাল ১৯৪৫-৪৬, আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পরে বাংলার মাটিতে, এইবারের দাঙ্গা মকাবেলায় ছিলনা কোন সরকারী সাহায্য, ছিলনা কোন শুরবীর, বাংলার হিন্দুরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে, যারা পালাতে পারলনা তাদের মেনে নিতে হল বীভৎস করুন দুর্ভাগ্য। ১৯৪৭, জন্ম হল মোহাম্মদ জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের পূর্বপাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তান। ৪৭-৪৮ সালের দাঙ্গার মূল উদ্দেশ্য ছিল যে সকল হিন্দু পরিবার উৎবাস্তুতে পরিনত হতে চায়নাই তাদের জোরকরে দেশের মাটি থেকে বের করে দেয়া আর তাদের সম্পত্তি ভোগ দখল করা। এই সময়ে “শত্রু সম্পত্তি আইন” তৈরি করা হয় এবং সম্পূর্ণ অমানবিক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। বাংলার ধনী হিন্দুরা হয়ে পরে সংখ্যালঘু, অসহায়, কপর্দকশূন্য।
সাল ১৯৫১, আরেক দফায় বড় ধরণের দাঙ্গা হয়ে যায় তদকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, হিন্দুরা এতটাই হীনবল হয়ে পরে যে তারা বিন্দু মাত্র প্রতিবাদও করতে পারেনাই এই দিন গুলোতে। দিন দিন তারা এই বীভৎসতাকেই তাদের ভাগ্য বলে মেনে নেয়। প্রতিদিন বাংলার আনাচে কানাচে ঘটতে থাকে ছোট ছোট অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সরকার যা সম্পূর্ণ ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল, যার কোন ইতিহাস বা পরিসংখ্যান নেই। সাল ১৯৬৪, জুন ৩, খুলনা শহরে ঘটে যায় বড় ধরণের দাঙ্গা, কারণ ছিল একটা গুজব। ভারতে মসজিদ অসম্মান, প্রাণ হারায় খুলনার অজস্র হিন্দু।
সাল ১৯৭১, বাংলার মুক্তিযুদ্ধ। ৭১’এর পর বাংলার হিন্দুরা কিসের মুক্তি পেয়েছে ? তাই আমি বলবো ৭১ ছিল বাংলার হিন্দু নিধনের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, The Hindu Genocide , যেখানে সামরিক বাহিনী সরাসরি যুক্ত ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে এই হত্যাযজ্ঞের কারণ ছিল কিছু হিন্দু শিক্ষক যারা ছাত্রদের মনে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন এর ভারতের ষড়যন্ত্র যারা একটা ইসলামিক রাষ্ট্রকে ভেঙে দুটুকরো করার পাঁয়তারা করছিল, এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো কিছু বিপথগামী মুসলমান, যাদের পশ্চিম পাকিস্তান মোনাফেক নাম দিয়েছিল। তাই এদের নিধন ছিল মূল Target. যুদ্ধের শুরুতে তারা শুধু বাংলার হিন্দুদের হত্যা শুরু করে। ভারতে যে শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের তিন চতুর্থাংশ ছিল হিন্দু। সে সময়ের আমেরিকান সিনেটর কেনেডির দেয়া হিসাব মতে শরণার্থীদের ৮০% ছিল হিন্দু ।
সাল ১৯৮৪, হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করেন। বিচ্ছিন্ন কিছু দাঙ্গা ঘটে এর পরপর। সাল ১৯৯০-৯১-৯২; ভারতের বাবরী মসজিদ ইস্যু, বাংলায় জ্বলে ওঠে আবারও সাম্প্রদায়িক আগুন, জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীও এই সময়ে আঘাত থেকে রেহাই নাই । এক মসজিদের জন্য বাংলাদেশে এই সময়ে ধংস করা হয় কয়েক হাজার মন্দির। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম যেখানে প্রায় ৩০% হিন্দুর বসবাস ছিল সেখানেও দুশ্চিন্তার পারদ উপরে চড়তে শুরু করে।৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর প্রথম আঘাত আসে। মধ্যরাতের পরে প্রায় ২,০০০ মুসলিম ছুরি,লোহার রড, রাম দা,খোন্তা সহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্রসহ কৈবল্যধাম মন্দিরের চারপাশের প্রায় ৩০০ হিন্দু বাড়িঘরের উপর উন্মত্তভাবে হামলে পড়ে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।আগুন নেভাবে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যখন সেখানে প্রবেশ করতে যায়, স্থানীয় মুসলিমরা তাদেরকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। মধ্যরাতে মুসলিমদের ভয়াবহ আক্রমণে চকবাজারের প্রায় ১,৫০০ হিন্দু জেলে পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় (আরও পড়ুন)
সাল ২০০১, জামাত এবং ছাত্র শিবির সহ বেশ কিছু ইসলামিক দল শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে নীরব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। বড় সংখ্যক হিন্দু পরিবার এই সময়ে প্রানের ভয়ে পারি জমায় ভারতে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরেও ঘটে সংখ্যালঘু নির্যাতন। এখন আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, তাই এইখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না, হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন। আমরা ভাষাকে অনেক সহজ, অনেক UPDATE করে ফেলেছি কিন্তু সহজ করে ফেলতে পেরেছি কি আমাদের ক্ষতকে, করতে পেরেছি কি আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিচার ? দিতে পেরেছি কি অভিযুক্তদের কোন শাস্তি ?
এইতো শারদীয়া এসে পরেছে। গত বছরেরই কথা। ৩ই অক্টোবর বুধবার দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনে বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে সকালবেলা হনুমান মূর্তির হাটুর উপর কুরআন রেখে আসে ইকবাল নামের এক মুসলমান। খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উক্ত পূজামণ্ডপে হামলা করা হয়, দুর্গা প্রতিমাটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দেয়। কুমিল্লায় সহিংসতার পর হামলাকারীরা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়াতে ও বান্দরবানের লামায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে ভাঙচুর করে। কুরআন অবমাননার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে কমপক্ষে ১৫টি জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হত্যা করা হয় ৫জন নিরাপরাধ হিন্দুকে। সারা দেশে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। হিন্দুরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে যে দূর্গোতসবের, তা চোখের জলে পরিণত হয়। সারা দেশে অজস্র মামলা হয় এই ঘটনায়, কিন্তু আজ কে কোন কেসের আসামী নিজেই জানে না। আর কেউ জানে না, কোথায় সেই ইকবাল। আইনের চোখে সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী।
আজও বিভন্ন রটনায়, ঘটনায় মুমিন মুসলমানের ফেসবুক গরম হয়ে ওঠে, বীভৎস গালি, আর “নারায়ে তাকবীর” “আল্লাহু আকবর বাক্যে ভোরে যায় পোস্ট। অনেকে সরাসরি থ্রেট করে, মাথা ফেলে দেওয়ার হুমকি ধামকী। একটা মাথা ফেলে দিলে অনেক সোয়াবের অধিকারী হবে, হয়তো বাকী জীবনটা বেহেস্তে শান্তিতে কাটাতে পারবে।
আর কি হবে না সহিংসতা, আর কি কারো ঘরে আগুন লাগবে না, আর কি কেউ উদ্বাস্তুতে পরিনত হবে না, আর কি কোন বাবাকে হাত জোড় করে বলতে হবে না, আমার মেয়েটা ছোট, তোমরা একজন একজন করে যাও। ও মরে যাবে। যতদিন পৃথিবীতে কোরআন থাকবে, যতদিন পৃথিবীতে একজনও কোরআনের অনুসারী থাকবে, ততদিন মনে রেখো, তুমি শত হাত মাটির নিচে লুকিয়ে থাকলেও বাঁচতে পারবে না। পুরো কোরআনে ২৩৪ বার তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তুমি পালাবে কোথায়?
তথ্যসূত্রঃ বিশ্ব হিন্দু জাতীয়তাবাদ

Post a Comment

0 Comments